|

SAT (স্যাট) নিয়ে খুটিনাটি বিস্তারিত জানুন ও যত জিজ্ঞাসা

বিদেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে যাঁরা পড়তে যেতে আগ্রহী, স্যাট (SAT) তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। এ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ার প্রস্তুতি যাচাই করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সঙ্গে স্যাট স্কোর জমা দিতে হয়। এ ছাড়া শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্য স্যাট পরীক্ষার স্কোর বেশ কাজে দেয়। ১৪০০ স্কোর নিয়ে সহজে usa এ যাওয়া যায়।

Booklist & Resource

  • khan Academy এর ফ্রি resource গুলো কাজে লাগানো –
  • SAT এর অফিসিয়ালি ফ্রি ৬টি ফ্রি মক টেস্ট দেওয়া(নিজেকে যাচাই এর জন্য ১মে একটা mock test দিয়ে দেব)

English এর জন্য – 

এছাড়াও, Sat এর জন্য কিছু ভোকাবুলারি পড়া দরকার ওইগুলা কমপ্লিট করে নিবেন।

আপনি যদি DSAT ইংলিশে বিগিনার আর হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ইংলিশ এর প্রিপারেশন ‘PRINCETON REVIEW DSAT PREMIUM’ বইটি দিয়ে শুরু করা উচিত। এই বইয়ের সকল রুলস বিগিনার ফ্রেন্ডলি এবং সহজ ভাষায় লেখা।

Mathএর জন্য- 

১মে khan Academy এর ফ্রি সবগুলো resource শেষ করে একটা mock test দিয়ে নিজেকে যাচাই করে নেব। এরপর নিচের বই দুটার মধ্যে যেকোন একটা দিয়ে প্রিপারেশন শুরু করে দিব।

DSAT ম্যাথের জন্য Khan Academy কমপ্লিট করার পর পর্যাপ্ত প্রাকটিসের জন্য 1600.io (Orange book) বইটি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি প্র্যাক্টিস করবেন ম্যাথে তত দক্ষ হবেন, যা আপনাকে ভালো DSAT Score এনে দিবে ।

SAT পরীক্ষায় ম্যাথে ভালো করতে ‘Khan Academy ’ এর পাশাপাশি ‘College Panda Sat Math’ বই গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করে.

এছাড়াও, আরও কিছু রিসোর্স ব্যবহার করা যেতে পারে ও গ্রুপ গুলাতে যুক্ত হওয়া যেতে পারে, যেমন- https://www.facebook.com/groups/941020050656522/

এবং এডভান্স preparation এর জন্য নিচের মোটা বইটা ফলো করতে পারেন-

প্রশ্ন: কী কী বই পড়ব?

উত্তর: অফিশিয়াল স্যাট স্টাডি গাইড, ব্যারন’স, প্রিন্সটন রিভিউ, কাপলান, গ্রুবার’স, ম্যাকগ্র-হিল ইত্যাদি বইয়ের সাহায্য নিয়ে স্যাট পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়

Extra-

AT এর বই কালেক্ট করে প্রিপারেশন শুরু করবেন, কিন্তু বই খুজে পাচ্ছেন না? এখন থেকে আমাদের স্টুডেন্টদের পাশাপাশি আপনারাও আমাদের থেকে Digital SAT এর আপডেটেড বই নিতে পারবেন কোনো টেনশন ছাড়াই। আপনি চাইলে আলাদাভাবে বইগুলো যেমন অর্ডার করতে পারবেন, তেমনি সবগুলো বইয়ের সেট একসাথে অর্ডার করে ফেলতে পারেন।
*Books:
Erica Meltzar Reading – 250/-
Erica Meltzar Grammar – 250/-
College Panda SAT Math – 250/-
Orange Book SAT Math (Volume I- 5 Chapters) – 300/-
Princeton Review DSAT Premium – 500/-
Digital SAT official study guide – 300/-(newsprint)
সম্পূর্ণ সেট – ১৬৫০/- ( ৬ টি বই থাকবে)
ফুল সেট বই কিনে পেইজে রিভিউ দিলে প্রিমিয়াম প্রোগ্রামের ৫ টি রেকর্ডেড ক্লাস ফ্রী আছে।
**Delivery charge:
Inside Dhaka City:60/-
Outside Dhaka City:120/-
** Cash on delivery available
সবগুলো বই সুন্দর হোয়াইট প্রিন্টে হবে। ঢাকার ভেতরের অর্ডারে ৪৮-৭২ ঘণ্টা এবং ঢাকার বাইরে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে আপনার অর্ডার করা বই ৪-৬ কর্মদিবসের ভেতর ডেলিভারি করে দেওয়া হবে ইন শা আল্লাহ।
আমরা চাই বাংলাদেশের সকল মেধাবী স্টুডেন্টদের কাছে SAT সহজলভ্য হোক। ঢাকার এলিট ক্লাস কলেজের ছেলে/মেয়েটি যেমন SAT এর সকল রিসোর্স হাতের নাগালে পাচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেড়ে উঠা একটা Underprivileged ছেলে/মেয়েও যেন তার কনভেনিয়েন্ট মেথডে SAT প্রিপারেশন নিতে পারে, এটাই আমাদের স্বপ্ন।
পেইজে ম্যাসেজ করে SAT এর প্রয়োজনীয় বই অর্ডার করুন এবং শুরু করে ফেলুন আপনার SAT প্রিপারেশন।
Best of luck. You can make it. ♥️

Important links

follow dsat yt channel – https://www.youtube.com/@dsatwithzidan

ও dsat fb page – লিংক

SAT ম্যাথ প্রিপারেশন (বিস্তারিত) – Strategy for a perfect 800 on DSAT Math:

1. Complete Khan Academy (Don’t leave a single dot. Review the lesson even if you’ve completed it from somewhere else. Let me know where you’re struggling the most, I will help you to sort it out.)
2. Start solving past paper questions of SAT math after you’re done with Khan Academy. I will provide you recorded solve class of past paper questions. You can just pause and try to solve the question and then see my solve if needed. If you’re in a time constraint, only solve question number 21-35 of past paper SAT questions. Those are the trickiest one.
3. After solving Khan Academy and Past Paper questions, take a mock test and see your progress. Then, solve college panda/ orange book if needed.
4. More than 80% of SAT questions can be solved with the help of Scientific Calculator and Desmos Calculator. Watch our provided recorded classes of Desmos Hacks and practise accordingly.
5. Just send me any Math/EBRW questions where you’re struggling. I will help you solving it with a voice message or video. Solving problem can be the only way to go for a perfect 800 on DSAT.
Extra Tips: It’s so tough and time consuming to improve EBRW after a certain level of improvement. So try to get a perfect score in Math to get a good SAT score.
*Notice: Check the comment section _ fill-up the interest form to get a discount on December Dsat One Month Crash course!

প্রশ্ন: স্যাট কী, কেন দেবেন?

উত্তর: স্যাট (SAT = Scholastic Assessment Test)। বিদেশে স্নাতক পড়তে যাওয়ার জন্য স্যাট দিতে হয়। কেবল ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে বলা থাকলেই তখন স্যাট স্কোর জমা দিতে হবে। স্কলারশিপ পাওয়ার জন্যও স্যাট স্কোর গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন: কোথায়, কখন স্যাট টেস্ট হয়?

উত্তর: বাংলাদেশে ৫টি জায়গায় স্যাট পরীক্ষা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৪টি রাজধানী ঢাকায় এবং ১টি চট্টগ্রামে অবস্থিত। সাধারণত মার্চ, মে, আগস্ট, অক্টোবর এবং ডিসেম্বরে স্যাট পরীক্ষা হয়ে থাকে।

সকল পরীক্ষা কেন্দ্রের গুগল ম্যাপ লোকেশন দেয়া আছে। যেকোনো প্রয়োজনে কল করুন আমাদের। 01766966772

SAT পরীক্ষার জন্য কি ল্যাপটপ নিজে নিয়ে যেতে হয় নাকি তারা সরবরাহ করে, আর পরীক্ষার কেন্দ্রে কি আগে টেস্ট দেওয়া যায়?

দয়া করে জানাবেন।

Ans-Laptop na thakle etar jonno Center a apply kora lage then tara provide korbe.

ভালো SAT স্কোর থাকলেই কী স্কলারশিপ পাবো?

SAT এ ভালো একটি স্কোর এবং ভালো একাডেমিক প্রোফাইলের উপর আমেরিকা ও ইউরোপের বেশ কিছু ইউনিভার্সিটি থেকে আপনি পেতে পারেন ১০০% পর্যন্ত টিউশন ফি ওয়েভার।
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস আর্লিংটন, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডা, ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ মিশিসিপি, ফিনল্যান্ডের আলতো, টেম্পার মত বেশকিছু ইউনিভার্সিটিতে আপনি এই SAT স্কোর ভিত্তিক স্কলারশিপ পেতে পারেন।
এছাড়াও বিশ্বের প্রায় সকল ইউনিভার্সিটির এপ্লিকেশনে একটা ভালো SAT স্কোর আপনাকে বাকিদের তুলনায় কয়েক গুণ এগিয়ে রাখতে পারে।

প্রশ্ন: স্যাট দেওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স কী?

উত্তর: সাধারণত যাঁরা বিদেশে স্নাতক পড়তে চান, তাঁদেরকেই এই পরীক্ষাটা দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি এসএসসির পর বা উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থাতেই স্যাট দিতে পারবেন। The Great Bangladesh

প্রশ্ন: স্যাটে কটি দক্ষতা যাচাই করা হয় এবং কী কী?

উত্তর: মূলত ২টি জিনিস যাচাই করা হয়।

  • ইংরেজি
  • ও গণিত।

এর মধ্যে ইংরেজিতে রিডিং ও রাইটিং অংশ থাকে। রিডিংয়ে ৫-৬টা প্যাসেজ থাকে, যা পড়ে ছোট ছোট এমসিকিউর উত্তর দিতে হয়। রাইটিংয়েও প্যাসেজ থাকে, সেখান থেকে গ্রামার ও ইনফরমেশন বেইজড প্রশ্ন থাকে। গণিতে ক্যালকুলেটর ও নন-ক্যালকুলেটর সেকশন আছে। এক জায়গায় এমসিকিউ থাকে, আরেক জায়গায় গ্রিড ইন প্রশ্ন থাকে।

প্রশ্ন: একজন শিক্ষার্থী কবার স্যাট দিতে পারবেন?

উত্তর: যতবার ইচ্ছে ততবার। তবে স্যাট বেশ খরুচে একটা পরীক্ষা। তাই প্রথমবারই ভালোমতো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেয়া উচিত।

প্রশ্ন: স্যাট কোন বিভাগের জন্য প্রযোজ্য?
উত্তর: স্যাট সায়েন্স, কমার্স ও আর্টসের সবাই দিতে পারেন। স্যাটের বিকল্প এসিটি স্কোর অনেক জায়গায় গ্রহণ করা হয়। এটাও অনেকটা স্যাটের মতোই।

প্রশ্ন: কোন কোন দেশ স্যাট স্কোর নেয়?

উত্তর: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও অনেক দেশ স্যাট স্কোর গ্রহণ করে। বিশেষ করে স্কলারশিপের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মানদণ্ড।

প্রশ্ন: হাতঘড়ি ও ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায় কি?

উত্তর: এটা টেস্ট সেন্টারের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত অ্যানালগ ঘড়ি ব্যবহার করা যায়। কোনো ধরনের স্মার্টওয়াচ, অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করা যাবে না। আর কোন মডেলের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে তা প্রতিনিয়ত স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়। তাই পরীক্ষা দেওয়ার আগে সেখানে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে।

প্রশ্ন: ফলাফল পেতে কত সময় লাগে?

উত্তর: স্যাটের ফলাফল দিতে সাধারণত এক মাসের মতো সময় লাগে।

প্রশ্ন: কেউ যদি দুবার পরীক্ষা দেয়, সে ক্ষেত্রে কোন স্কোর গণ্য করা হবে?

উত্তর: আপনি যতবার ইচ্ছে ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। আর কোন স্কোরটা জমা দেবেন সেটা আপনার ওপরই নির্ভর করবে। অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি যেবার স্কোর করেছেন, সেটাই পাঠাতে পারবেন।

প্রশ্ন: স্যাটে কীভাবে স্কোর নির্ধারণ করা হয়?

উত্তর: স্যাটে স্কিলবেজড নাম্বারিং করা হয়। একেক প্রশ্নে একেক ধরনের নম্বর থাকে। যেহেতু প্রতিটা প্রশ্নেরই সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে। সব প্রশ্নে বরাদ্দকৃত নম্বর এক না।

প্রশ্ন: বিভিন্ন কলেজে আবেদন করার জন্য ন্যূনতম কত স্যাট স্কোর প্রয়োজন?

উত্তর: প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যূনতম একটা স্কোর দিয়ে দেয়। সাধারণত প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড বা ৯০ শতাংশ স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে চাইলে ১৫০০-এর বেশি স্কোর থাকতে হবে। এ ছাড়া অনেক ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ১৪০০-এর বেশি স্কোর গ্রহণ করে। ১৩০০ দিয়েও আপনি ভালো জায়গায় ভর্তি হতে পারবেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন: স্যাটে কোনো বিরতি আছে?

উত্তর: স্যাটের প্রতিটা সেকশনের পরে একটা বিরতি দেয়। এর মাঝে আপনি চাইলে অন্য রুমে বসে খাবার খেতে পারবেন। তবে টেস্ট সেন্টার থেকে আগেই এসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে নেবেন। কারও যদি কিছু প্রয়োজন হয়, তা যেন ইনভিজিলেটরকে আগেই জানানো হয় ৷

প্রশ্ন: কলম ব্যবহার করা যাবে?

উত্তর: না, শুধু পেনসিল ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রশ্ন: স্যাটের আবেদন ফি কত?

উত্তর: সব মিলিয়ে প্রায় ১০১ ডলার। তবে এটা যেহেতু প্রায়শই হালনাগাদ করা হয়, তাই ওয়েবসাইট থেকে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।

EFC আপনার USA এ্যাডমিশন কে নিশ্চিত করে দিতে পারে আপনি কি জানেন ?

প্রশ্ন: কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে?

উত্তর: এর জন্য প্রথমেই স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে কলেজ বোর্ড অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরীক্ষার কমপক্ষে এক মাস আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যা যা প্রয়োজন:

পাসপোর্ট
পিপি ছবির ডিজিটাল কপি
পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোনো ধরনের শনাক্তকারী পরিচয়পত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।
স্যাটের রেজিস্ট্রেশন করার পর প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটি করে অ্যাডমিশন টিকিট দেওয়া হবে। এটা পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করার প্রমাণপত্র। রেজিস্ট্রেশনের পেমেন্ট সম্পন্ন করার পর একটা নতুন পেজ আসবে। এই পেজটি-ই অ্যাডমিশন টিকিট। টিকিটটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। অ্যাডমিশন টিকিটের মধ্যে যা যা থাকবে–

শিক্ষার্থীর ছবি
শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য
পরীক্ষার দিন, সময় ও কেন্দ্র
শিক্ষার্থীর জন্য নোট
সুপারভাইজারের দিকনির্দেশনা
পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় আরও কী কী নিয়ে যেতে হবে তাও বলা থাকবে প্রবেশপত্রে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে ভর্তি

যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং সামগ্রিক (holistic)। এর মানে আপনার একাডেমিক রেজাল্ট, SAT/ACT স্কোর, সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম (Extracurricular Activities বা ECA), রেকোমেন্ডেশন লেটার, অ্যাডমিশন এসে (Essays), এবং আপনার ব্যক্তিত্বের অন্যান্য দিক সবকিছুই বিবেচনা করা হয়। এখানে প্রতিটি অংশই গুরুত্বপূর্ণ, এবং আপনার আবেদনপত্রে কিছু উপেক্ষা করা মানে আপনার প্রোফাইলকে দুর্বল করে তোলা। আসুন বিস্তারিত আলোচনা করি।
⭕ ১ম বিষয়: সময়সীমা এবং পরিকল্পনা
যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাড আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত ৯ম থেকে ১২ম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্স, সাফল্য, এবং সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়। ৮ম শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন, তবে যারা ১১ম বা ১২ম শ্রেণিতে আছেন, তাদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ শুরু করা অত্যন্ত জরুরি।
যদি আপনি এই বছরের নভেম্বর থেকে পরের বছরের জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করেন, তবে সাধারণত আপনার ক্লাস শুরু হবে পরের বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। উদাহরণস্বরূপ, HSC বা A Levels শেষ করে আবেদন করলে একটি গ্যাপ ইয়ার থাকা স্বাভাবিক বিষয়। এই গ্যাপ ইয়ারকে সমস্যা হিসেবে না দেখে, বরং এই সময়ে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করলে তা আপনার প্রোফাইলকে আরও শক্তিশালী করবে।
Early Decision (ED): ED আবেদন প্রক্রিয়ায় আবেদনকারী একটি নির্দিষ্ট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিজেকে অঙ্গীকারবদ্ধ করে। যদি আবেদনকারী ED এর মাধ্যমে ভর্তি হন, তবে তিনি সেই প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি হবেন। ED এর ডেডলাইন সাধারণত নভেম্বর ১ থেকে নভেম্বর ১৫ এর মধ্যে হয়, এবং ফলাফল ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়।
Early Action (EA): EA এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী কিছু আগে আবেদন করতে পারেন কিন্তু ED এর মতো বাধ্যতামূলক নয়। EA এর ডেডলাইন সাধারণত নভেম্বর ১ থেকে নভেম্বর ১৫ এর মধ্যে হয়, এবং ফলাফল ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়।
Regular Decision (RD): RD হল সবচেয়ে প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়া, যার ডেডলাইন জানুয়ারি ১ থেকে ফেব্রুয়ারি ১ এর মধ্যে থাকে। RD এর ফলাফল সাধারণত মার্চ বা এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়।
Rolling Admissions: কিছু কলেজে Rolling Admission প্রক্রিয়া থাকে, যেখানে আবেদনপত্র যাচাই করার নির্দিষ্ট ডেডলাইন নেই। তারা আবেদনপত্রগুলো জমা দেয়ার সাথে সাথে মূল্যায়ন করে এবং ফলাফল জানায়
⭕২য় বিষয়: সঠিক কলেজ লিস্ট তৈরি করা
কলেজ রিসার্চ এবং সঠিকভাবে একটি কলেজ লিস্ট তৈরি করা আবেদন প্রক্রিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনেক শিক্ষার্থী এ প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করে এবং ফলস্বরূপ, ভুল কলেজে আবেদন করে। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রোফাইল আলাদা, তাই অন্য কারো তালিকা আপনার জন্য সঠিক নাও হতে পারে।
কলেজ লিস্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় বিবেচনা করবেন:
প্রোফাইলের সাথে ফিট: শুধুমাত্র স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেই কোনো কলেজে আবেদন করা উচিত নয়। আপনাকে প্রতিটি কলেজের একাডেমিক পদ্ধতি, পাঠ্যক্রম, সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম, এবং ক্যাম্পাস জীবনের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে।
আর্থিক সহায়তা: আপনি কি আর্থিক সহায়তার উপর নির্ভর করছেন? তাহলে প্রতিটি কলেজের আর্থিক সহায়তা প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে।
কলেজের ধরণ অনুযায়ী তালিকা তৈরি:
প্রত্যেক আবেদনকারীকে চার ধরনের কলেজে আবেদন করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনার আবেদন তালিকায় ভারসাম্য থাকবে এবং ভর্তি হবার সম্ভাবনাও বাড়বে। এই ধরনেরগুলো হলো:
১. Far Reach Colleges
Far Reach কলেজগুলোতে ভর্তি পাওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। সাধারণত এ ধরনের কলেজের ভর্তি হার ১০% এর কম থাকে। এসব কলেজের আবেদনকারীদের প্রোফাইল সাধারণত অসাধারণ এবং প্রতিযোগিতা অনেক তীব্র। তবে, এখানে আবেদন করলে স্বপ্নের কলেজে সুযোগ পাবার সম্ভাবনা থাকলেও, কিছু বাস্তবসম্মত পছন্দ রাখা জরুরি।
২. Reach Colleges
Reach Colleges হলো এমন কলেজ যেখানে আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী হলেও, ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ১০-৩০% এর মধ্যে থাকে। আপনার প্রোফাইলের কিছু অংশ মিলে যায়, তবে সম্পূর্ণ নয়। প্রতিযোগিতা তীব্র হলেও, কিছুটা আশা রাখা যায়।
৩. Target Colleges
Target Colleges হলো সেই কলেজগুলো যেখানে আপনার প্রোফাইল কলেজের গড় আবেদনকারীদের প্রোফাইলের সাথে মিলে যায়। এ ধরনের কলেজে ভর্তি পাওয়ার হার ৩০-৫০%, এবং এখানে আপনার গ্রহণযোগ্যতার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনি আত্মবিশ্বাসী থাকতে পারেন যে এখানে আপনি সফল হতে পারেন।
৪. Safety Colleges
Safety Colleges হলো এমন কলেজ যেখানে আপনার প্রোফাইল অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এখানে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। তবে, যদি আপনি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে বিশাল আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন করেন, Safety Colleges থেকে স্কলারশিপ পাওয়া সবসময় নিশ্চিত নাও হতে পারে।
লিস্টে ভারসাম্য রাখা: যদি আপনি ২০টি কলেজে আবেদন করেন, আপনার তালিকায় থাকতে পারে ৫টি সেফটি, ৯টি টার্গেট, এবং ৪টি রিচ বা ফার রিচ কলেজ। এর মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়ায় আপনি সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন এবং ভর্তির সম্ভাবনা বাড়বে।
⭕৩য় বিষয়: আবেদন প্রক্রিয়ার ধরন: ED, EA, RD এর মধ্যে পার্থক্য
আপনি যখন আপনার কলেজ লিস্ট তৈরি করবেন, তখন আবেদন পদ্ধতি বেছে নেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কিছু ধরনের আবেদন পদ্ধতি রয়েছে, যেমন:
Early Decision (ED): এটি একটি বাধ্যতামূলক (binding) আবেদন। আপনি যদি ED এর মাধ্যমে একটি কলেজে ভর্তি হন এবং আর্থিক সহায়তা পান, তবে আপনাকে সেখানে ভর্তি হতে হবে। ED এর সুবিধা হল এখানে গ্রহণযোগ্যতার হার কিছুটা বেশি।
Early Action (EA): EA একটি নন-বাইন্ডিং (non-binding) আবেদন পদ্ধতি। আপনি আগাম আবেদন করতে পারেন এবং আগাম ফলাফল পেতে পারেন, তবে এখানে ভর্তি হওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
Restrictive Early Action (REA): REA EA এর মতোই, তবে এর নিয়ম কিছুটা সীমাবদ্ধ। আপনি শুধু একটি কলেজে আগাম আবেদন করতে পারবেন, তবে অন্যান্য কলেজের রেগুলার ডেডলাইনে আবেদন করা যাবে।
Regular Decision (RD): এটি মূল আবেদন পদ্ধতি, যেখানে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আবেদন করা হয় এবং ফলাফল পাওয়া যায় মার্চ বা এপ্রিল মাসে।
Early Decision 2 (ED-2): ED এর মতোই, তবে এটি একটু পরে, জানুয়ারিতে আবেদন করার সুযোগ থাকে এবং ফেব্রুয়ারিতে ফলাফল পাওয়া যায়। ED-2 পদ্ধতিটি সাধারণত তখনই কাজে লাগে যখন ED 1 এ কোনো কলেজ থেকে প্রাপ্তি হয় না।
⭕৪র্থ বিষয়: আবেদন প্ল্যাটফর্ম
CommonApp, Scoir (Coalition), এবং ApplyTexas হলো আবেদন করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, যা আপনাকে একাধিক কলেজে আবেদন করতে সাহায্য করে।
CommonApp: সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রায় ১,০০০+ কলেজ রয়েছে। তবে CommonApp-এর মাধ্যমে সর্বাধিক ২০টি কলেজে আবেদন করা যায়। একাডেমিক তথ্য, এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি (ECA), পুরস্কার, প্রবন্ধ এবং সুপারিশপত্র আপলোড করতে হয়। একবার এই তথ্য জমা দিলে, তা একাধিক কলেজে ব্যবহার করা যায়।এটি অধিকাংশ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য আদর্শ এবং স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যাটফর্ম।
Scoir (Coalition): এটি তুলনামূলকভাবে ছোট প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কম সংখ্যক(১২০+) কলেজ রয়েছে, তবে আপনি সীমাহীন সংখ্যক কলেজে আবেদন করতে পারবেন। Scoir এর মাধ্যমে কলেজ অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা সহজ এবং এটি অপেক্ষাকৃত সহজ ইন্টারফেসে কাজ করে।
ApplyTexas: বিশেষভাবে টেক্সাসের কলেজগুলোর জন্য ডিজাইন করা একটি প্ল্যাটফর্ম। যদি আপনি টেক্সাসের কলেজগুলিতে আবেদন করতে চান, তাহলে এটি ব্যবহার করতে হবে।
কিছু কলেজ তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন নিতে পারে। তবে এরকম সুযোগ সীমিত।সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ করবে এবং সময় সাশ্রয় করবে।
⭕৫ম বিষয়: আবেদন ফি মওকুফ এবং সহজে আবেদন করুন
আবেদন ফি মওকুফের জন্য CommonApp এবং Scoir-এ একটি বিকল্প রয়েছে, যেখানে আপনি ফি মওকুফের আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও, কোনও কলেজের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে আবেদন করলে, ফি মওকুফের জন্য ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। অনেক কলেজ ফি মওকুফ দেয়, বিশেষত যদি আপনি অর্থনৈতিক সহায়তা প্রয়োজন বলে দেখাতে পারেন। যারা ফি মওকুফ দেয় না, তাদের অনেক সময় পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তাও থাকে না।
Duolingo ইংরেজি পরীক্ষার জন্যও ফি মওকুফ পাওয়া যেতে পারে, তবে IELTS এর ক্ষেত্রে ফি মওকুফের কোনও সুযোগ নেই। CSS Profile ফি মওকুফের জন্যও ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করা যেতে পারে।
⭕৬ষ্ঠ বিষয়: একাডেমিক ফলাফল
মার্কিন কলেজগুলোতে আবেদন করতে গেলে একাডেমিক ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা শুধুমাত্র বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল নয়, বরং স্কুলের অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফলও দেখে। তাই স্কুলের প্রতিটি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন কলেজগুলো আপনার একাডেমিক ধারাবাহিকতা, উন্নতি, এবং সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে থাকে, তাই শুধুমাত্র চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভালো করা যথেষ্ট নয়, বরং প্রতিটি ক্লাসের ফলাফলকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আবেদনের সময়ে ট্রান্সক্রিপ্ট সংগ্রহ করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ৬টি ট্রান্সক্রিপ্ট প্রস্তুত রাখতে হয়, যা ৯ম, ১০ম, SSC/O Level, ১১ম, ১২ম, এবং A Level এর ফলাফলকে অন্তর্ভুক্ত করে। তবে, যদি আপনি সবগুলো ট্রান্সক্রিপ্ট সংগ্রহ করতে না পারেন, তাহলে ৪টি প্রধান ট্রান্সক্রিপ্ট (৯ম, SSC/O Level, ১১ম, এবং A Level) জমা দেওয়াই অনেক সময় যথেষ্ট হয়। এসব ট্রান্সক্রিপ্ট আপনার শিক্ষাগত সামর্থ্য এবং ধারাবাহিকতা বোঝাতে সহায়ক হবে, যা কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
⭕৭ম বিষয়: SAT/ACT প্রস্তুতি
SAT এবং ACT হল দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডার্ডাইজড পরীক্ষা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রয়োজন হয়। SAT এর সর্বমোট স্কোর ১৬০০ এবং ACT এর সর্বমোট স্কোর ৩৬। সাধারণত, SAT 1400 বা ACT 31 একটি ভালো স্কোর হিসেবে ধরা হয়, তবে উন্নতির সুযোগ থাকে। SAT 1450 বা ACT 33 হল চমৎকার, এবং SAT 1500 বা ACT 34 এর বেশি স্কোর হলে স্কোর নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
যদি আপনি SAT 1400 বা ACT 31 এর কম স্কোর পান এবং প্রচুর অর্থনৈতিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে স্কোর উন্নত করার জন্য পুনরায় পরীক্ষা দেওয়া বিবেচনা করা উচিত। উচ্চ স্কোর আপনাকে Merit Scholarship পেতে সহায়তা করবে, যা আর্থিক সহায়তার সঙ্গে মিলিয়ে আপনার খরচ কমাতে পারে।
SAT পরীক্ষায় আপনাকে ইংলিশের রিডিং ও রাইটিং সেকশনে ৮০০ নম্বর এবং ম্যাথের সেকশনে ৮০০ নম্বরের উপর ভিত্তি করে মোট ১৬০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা দিতে হয়। SAT প্রস্তুতির জন্য Khan Academy একটি চমৎকার বিনামূল্যের প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি SAT এর সকল সেকশনের জন্য পর্যাপ্ত প্র্যাকটিস করতে পারেন। এছাড়াও, প্রস্তুতির জন্য Erica L. Meltzer এর রিডিং এবং গ্রামার বই, এবং 1600.io এর ম্যাথ রিসোর্স সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ম্যাথ সেকশনে ভালো স্কোর করা তুলনামূলকভাবে সহজ হলেও, ইংলিশ সেকশনে ভালো স্কোর করতে নিয়মিত আর্টিকেল পড়া এবং প্রচুর প্র্যাকটিস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
⭕৮ম বিষয়: ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তুতি
ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির একটি আবশ্যিক শর্ত হলেও, এগুলো ভর্তি প্রক্রিয়া বা স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি প্রভাব ফেলে না। এই পরীক্ষাগুলো মূলত আপনার ইংরেজিতে যোগাযোগ করার সক্ষমতা যাচাই করে। আপনি কতটা ভালোভাবে পড়তে, লিখতে, শুনতে এবং কথা বলতে পারেন, সেটাই এ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।
Duolingo English Test (DET) বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি আপনি ঘরে বসে দিতে পারেন, এবং পরীক্ষা শেষে মাত্র দুই দিনের মধ্যে ফলাফল পেয়ে যাবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এই পরীক্ষার স্কোর গ্রহণ করে। এছাড়াও, Duolingo-এর ফি তুলনামূলকভাবে কম, যা এটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
তবে, যাদের পরিকল্পনা ইউরোপ বা এশিয়াতে পড়াশোনা করার, তাদের জন্য IELTS বা TOEFL পরীক্ষাগুলো ভালো অপশন হতে পারে। IELTS (International English Language Testing System) এবং TOEFL (Test of English as a Foreign Language) বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত দুটি ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা। IELTS সাধারণত ব্রিটিশ ইংলিশের উপর ভিত্তি করে, যেখানে TOEFL মূলত আমেরিকান ইংলিশের উপর ফোকাস করে।
পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি:
Duolingo: এই পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য Duolingo এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্র্যাকটিস টেস্ট পাওয়া যায়।
IELTS এবং TOEFL: এই দুটি পরীক্ষার জন্য প্রচুর অনলাইন রিসোর্স, প্রস্তুতির বই এবং মক টেস্ট পাওয়া যায়। Khan Academy TOEFL প্রস্তুতির জন্য একটি চমৎকার মাধ্যম, এবং British Council IELTS-এর জন্য বিভিন্ন রিসোর্স প্রদান করে।
এমনকি যদি আপনার ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা অনেক ভালো হয়, তবুও আবেদন করার সময় অন্যান্য কাগজপত্র যেমন এসেস এবং রেফারেন্স লেটারের মান নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
⭕৯ম বিষয়: সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম
Extra-Curricular Activities (ECAs) বা অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রমগুলো আপনার কলেজ অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র একাডেমিক গ্রেডের উপর নির্ভর না করে, কলেজগুলো আপনার সৃজনশীলতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, এবং অন্যান্য দক্ষতার মূল্যায়ন করে। এই কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণ আপনাকে অন্যান্য আবেদনকারীদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে।
১.এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন যা আপনার আসল আগ্রহের প্রতিফলন করে। যদি আপনি সত্যিই কিছু ভালোবাসেন, সেটি প্রমাণিত হবে। অভিভাবকদের জন্য সন্তানদের একাডেমিক্সের বাইরে তাদের নিজস্ব শখ এবং আগ্রহে সমর্থন করুন।
২.কলেজগুলো নেতৃত্বের গুণাবলীকে উচ্চ মূল্যায়ন করে। ক্লাব বা সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া, ইভেন্ট আয়োজন করা বা কোনো প্রজেক্টের তত্ত্বাবধান করা আপনার প্রোফাইলকে বিশেষ করে তোলে।
৩.গবেষণামূলক কাজ বা প্রকল্পে অংশগ্রহণ করলে, সেটি উল্লেখ করুন। এটি আপনার একাডেমিক আগ্রহ এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার প্রমাণ দেয়।
৪.সমাজসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা, যেমন স্থানীয় কমিউনিটি প্রোগ্রাম বা এনজিওতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা, আপনার সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সহানুভূতি দেখায়।
৫.আপনার মেজরের সাথে সম্পর্কিত ইন্টার্নশিপ বা পার্ট-টাইম কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। এটি প্রমাণ করে যে আপনি বাস্তব কাজের জন্য প্রস্তুত।
৬.গবেষণা পেপার, সৃজনশীল লেখা বা অন্যান্য প্রকাশনা উল্লেখ করুন। পুরস্কার ও স্বীকৃতি আপনার কাজের মান বাড়ায় এবং আপনার প্রোফাইলকে শক্তিশালী করে।
৭.এমন প্রকল্পে কাজ করুন যা আপনার আগ্রহের সাথে সম্পর্কিত এবং এটি আপনার প্রোফাইলে উল্লেখ করুন। উদাহরণস্বরূপ, নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা বা সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা।
৮.একাডেমিক বিষয়গুলির বাইরে কিছু সৃজনশীল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন, যেমন মিউজিক্যাল পারফর্মেন্স, স্পোর্টস টিমে অংশগ্রহণ, বা কমিউনিটি ইভেন্টে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করা।
এমন কিছু করুন যা আপনার জন্য বিশেষ অর্থ বহন করে। নতুন কিছু করার জন্য শুধু কারণ নয়, বরং আপনার প্রিয় কার্যক্রমে বিশেষত্ব আনার চেষ্টা করুন এবং সেটি প্রদর্শন করুন। আপনি সম্ভবত শুনেছেন যে ‘Show, Don’t Tell’। এর মানে হলো, আপনি যা করেছেন তা কেবল বলবেন না, বরং পদক্ষেপমূলক ভাষা এবং সংখ্যাগত মান ব্যবহার করে দেখান। CommonApp Activity সেকশনে প্রতিটি কার্যক্রমের জন্য ১৫০ ক্যারেক্টার রয়েছে, তাই দীর্ঘ বাক্য লিখবেন না।
Well-Rounded বনাম Spiked প্রোফাইল:
Well-Rounded: এই প্রোফাইলের ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে, যা তাদের বহুমুখী দক্ষতা প্রদর্শন করে। সাধারণত, তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রের কাজ করে, যা তাদের অভিজ্ঞতার বিস্তৃততা তুলে ধরে।
Spiked: এই প্রোফাইলের ছাত্ররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে গভীরভাবে কাজ করে এবং তাদের মেজরের সাথে সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশ নেয়। এটি তাদের বিশেষজ্ঞতা ও আগ্রহকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
কিছু কলেজ Spiked প্রোফাইল পছন্দ করে কারণ এটি প্রমাণ করে যে ছাত্ররা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে গভীরভাবে আগ্রহী। তবে, কিছু কলেজ Well-Rounded প্রোফাইলকেও গুরুত্ব দেয়, যারা বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে এবং এখনও নিজেদের খুঁজছে।
এই তথ্যগুলি আপনার প্রোফাইলকে আরও আকর্ষণীয় ও শক্তিশালী করে তুলবে এবং Admission Officers-এর কাছে আপনার প্রোফাইলকে আরও প্রভাবশালী করে তুলবে।
⭕১০ম বিষয়: পুরস্কার/সন্মাননা
পুরস্কার এবং সন্মাননা আপনার কলেজ আবেদনপত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিকভাবে সন্নিবেশিত পুরস্কারগুলো আপনার দক্ষতা, প্রতিভা এবং কাজের প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার: উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে পদক, জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জয়, অথবা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সম্মাননা। এই পুরস্কারগুলো আপনার বৈশ্বিক বা জাতীয় স্তরের অর্জনকে প্রমাণ করে।
একাডেমিক পুরস্কার: যেমন শ্রেষ্ঠ ছাত্র, সম্মানিত স্নাতক, বা কোনো একাডেমিক সম্মাননা। এই পুরস্কারগুলো আপনার একাডেমিক সফলতার প্রমাণ।
এক্সট্রা-ক্যারিকুলার পুরস্কার: স্কুলের বা স্থানীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অর্জিত পুরস্কার, যেমন বিতর্ক প্রতিযোগিতা, স্পোর্টস, থিয়েটার বা সঙ্গীত ক্ষেত্রে পুরস্কার।
যথাযথ ব্যবস্থাপনা:
পুরস্কারের বিবরণে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিন—পুরস্কার অর্জনের তারিখ, পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা, এবং এটি কিভাবে অর্জন করেছেন। আবেদনপত্রে শুধুমাত্র আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারগুলি উল্লেখ করুন। বেশি সংখ্যক পুরস্কার উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকুন, যা আপনার আবেদনকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলতে পারে।
⭕১১তম বিষয়: রচনা (Essays)
রচনা আপনার আবেদনপত্রের একটি মূল উপাদান যা আপনার ব্যাক্তিত্ব ও অভিজ্ঞতাকে উপস্থাপন করে। একটি শক্তিশালী রচনা আপনাকে অন্যান্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করতে সাহায্য করবে।
ব্যক্তিগত রচনা: এখানে আপনি আপনার জীবন, অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তিগত গল্পগুলি শেয়ার করবেন। এটি আপনার ব্যক্তিত্ব এবং ভাবনা প্রকাশের একটি সুযোগ।
‘Why Us’ রচনা: এখানে আপনি যুক্তিসহকারে ব্যাখ্যা করবেন কেন আপনি ঐ বিশেষ কলেজে পড়তে চান এবং কলেজের কী বৈশিষ্ট্য আপনার সঙ্গে মানানসই।
অতিরিক্ত রচনা: কিছু কলেজ বিশেষ প্রকল্প বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে অতিরিক্ত রচনা চায়, যা আপনার আবেদনকে আরও শক্তিশালী করে।
রচনা লিখতে কিছু পরামর্শ:
রচনা লেখার জন্য ৩-৪ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন। এটি আপনাকে পর্যাপ্ত সময় দিবে রচনার বিভিন্ন খসড়া প্রস্তুত করতে। আপনার রচনায় আপনার নিজস্ব গল্প, অভিজ্ঞতা এবং চিন্তা প্রতিফলিত করুন। এটি আপনার আবেদনপত্রকে আরও প্রামাণিক করে তুলবে। College Essay Guy এবং College Vine-এর মতো প্ল্যাটফর্মে রচনা পর্যালোচনা করুন। আপনি আপনার রচনাকে আরো প্রফেশনাল এবং আকর্ষণীয় করার জন্য প্রফেশনাল পরামর্শ পেতে পারেন।
⭕১২তম বিষয়: সুপারিশপত্র (Letters of Recommendation)
সুপারিশপত্র আপনার আবেদনপত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আপনার একাডেমিক এবং ব্যক্তিগত গুণাবলী সম্পর্কে জানায়।
১.শিক্ষকের সুপারিশপত্র: আপনার প্রধান বিষয়গুলির শিক্ষকদের থেকে সুপারিশপত্র নিন যারা আপনাকে ভালোভাবে জানেন এবং আপনার অর্জন ও দক্ষতার বিশদ বিবরণ দিতে পারেন।
২.স্কুল কাউন্সেলরের সুপারিশপত্র: এটি সাধারণত আপনার সামগ্রিক শিক্ষাগত অগ্রগতি এবং স্কুলের কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
৩.অতিরিক্ত সুপারিশপত্র: কিছু কলেজ অতিরিক্ত সুপারিশপত্র চাইতে পারে, যেমন নিয়োগকর্তার বা সহপাঠীর সুপারিশপত্র, যা আপনার আবেদনকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।
সঠিকভাবে পরিচালনা:
সুপারিশপত্রের জন্য আগাম সময় নির্ধারণ করুন। সাধারণত, আগস্ট মাসের মধ্যে অনুরোধ করা উচিত এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংগ্রহ করা উচিত। সুপারিশপত্রে আপনার অর্জন এবং গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকা উচিত, যাতে এটি আপনার আবেদনকে শক্তিশালী করে।
একাধিক সুপারিশপত্র আপনাকে একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সম্পূর্ণ চিত্র প্রদান করবে, যা আপনার আবেদনকে আরও প্রভাবশালী করে তুলবে।
⭕১৩তম বিষয়: আর্থিক (প্রয়োজনভিত্তিক) সাহায্য আবেদন (CSS প্রোফাইল এবং ISFAA)
আমেরিকান কলেজগুলিতে আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য FAFSA পূরণের সুযোগ নেই, তাই এখানে FAFSA এর আলোচনা থাকবে না। সাধারণভাবে, আবেদনপত্রের সময়সীমার পর আর্থিক সাহায্য আবেদন করার জন্য ১৫ দিন সময় থাকে, তবে কিছু কলেজের ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময়সীমা জানার জন্য কলেজের ওয়েবসাইটে যাচাই করুন।
CSS প্রোফাইল:
College Board ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন এবং CSS প্রোফাইল পূরণ করুন। এতে আপনার পরিবারের আয়, সম্পদ এবং অন্যান্য আর্থিক তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। CSS প্রোফাইল পূরণের সময় অভিভাবকদের সাথে বসে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন, বেতন স্লিপ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি দেখুন। এতে সময় এবং প্রচেষ্টা বাঁচবে। CSS প্রোফাইল জমা দেওয়ার জন্য ফি লাগে। কিছু কলেজ ফি মওকুফের সুযোগ দেয়। যদি না দেয়, তাহলে ISFAA জমা দিতে হতে পারে।CSS প্রোফাইলের ফি মওকুফের জন্য কলেজকে ইমেইল করুন। কিছু কলেজ মওকুফের সুযোগ দেয় এবং অন্যরা বলে দেয় যে তাদের ISFAA গ্রহণ করতে হবে।
ISFAA (International Student Financial Aid Application):
CSS প্রোফাইলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি পিডিএফ ফরম যা CSS প্রোফাইলের তুলনায় কম তথ্য প্রয়োজন। ISFAA সাধারণত সেসব কলেজ ব্যবহার করে যেগুলি CSS প্রোফাইল গ্রহণ করে না। এটি সহজ এবং দ্রুত পূরণ করা যায়।
⭕১৪তম বিষয়: অন্যান্য স্কলারশিপের আবেদন
অনেক কলেজ প্রয়োজনভিত্তিক সাহায্যের পাশাপাশি মেরিট এবং অন্যান্য স্কলারশিপও অফার করে। কিছু স্কলারশিপের জন্য আলাদা আবেদন করতে হয়, আবার কিছু কলেজের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হয় না।
স্কলারশিপের জন্য আলাদা আবেদন পদ্ধতি এবং সময়সীমা জানার জন্য কলেজের ওয়েবসাইট নিয়মিত পর্যালোচনা করুন। কিছু কলেজ স্কলারশিপের জন্য প্রাধান্য সময়সীমা নির্ধারণ করে। এই সময়সীমা মিস করবেন না এবং আবেদন করুন। কিছু কলেজ মেরিট ভিত্তিক স্কলারশিপ প্রদান করে, যা সাধারণত আলাদা আবেদন প্রয়োজন হয় না। কিছু কলেজ অতিরিক্ত স্কলারশিপ অফার করে যা আলাদা আবেদন পদ্ধতির প্রয়োজন হতে পারে।
⭕১৫তম বিষয়: সাক্ষাৎকার
অনেক কলেজ সাক্ষাৎকারের জন্য আবেদন করার ফর্ম প্রদান করে। ফর্ম পূরণ করে সাক্ষাৎকারের আবেদন করুন। যারা এই নীতি অনুসরণ করে না, তাদের জন্য ইমেইল করে সাক্ষাৎকারের আবেদন করুন। অনেক কলেজ সাক্ষাৎকারের অনুরোধ গ্রহণ করে, তবে কিছু কলেজ সাক্ষাৎকার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সাক্ষাৎকার না পাওয়া মানে আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবে না, তবে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করলে আপনার আবেদনকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি:
সাধারণত প্রশ্নগুলো আপনার সম্পর্কে, আপনার কর্মকাণ্ড, শখ এবং আগ্রহের ওপর হয়। সৎ থাকুন এবং প্রয়োজনীয় জায়গায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিন। সাক্ষাৎকারের গড় সময় ৩০-৪০ মিনিট, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘ হতে পারে। সাধারণ সাক্ষাৎকার প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে অনুশীলন করুন। ইতিবাচক ও আত্মবিশ্বাসী ইমপ্রেশন তৈরি করুন।
⭕১৬তম বিষয়: পোর্টফোলিও এবং সহায়ক নথিপত্র.
বেশিরভাগ কলেজ পোর্টফোলিও এবং সহায়ক নথিপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ দেয়। এই সুযোগটি গ্রহণ করুন! আপনার ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, শিল্পকলা, বা ভিডিও কনটেন্ট জমা দিন। এই সহায়ক নথিপত্র আপনার আবেদনপত্রের অংশ হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে। আপনার কাজগুলির সুন্দরভাবে প্রেজেন্টেশন করুন। আপনার পোর্টফোলিও আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহের সাথে সম্পর্কিত হওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে ভর্তির প্রতিযোগিতামূলক এবং সামগ্রিক (holistic) প্রক্রিয়া বুঝে নেওয়া এবং তার জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই নির্দেশিকা আপনাকে প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে এবং সঠিক কৌশল গ্রহণ করতে সহায়তা করবে। আপনার স্বপ্নের কলেজে পৌঁছানোর পথে, আপনার অনন্যতা এবং যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যান। মনে রাখবেন, সঠিক প্রস্তুতি এবং আপনার সত্যিকার প্রতিভার মাধ্যমে, আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারবেন। আপনার এই যাত্রা প্রতিটি পদক্ষেপে আনন্দময় ও সফল হোক আপনার জন্য অনেক শুভকামনা!
©️Citation and Copyright
Shahriar Abrar Himel
Oberlin College ’28, USA 🎓
Accepted to 25 prestigious universities
Writing styles and insights by Khalid Saifullah Juel

হার্ভার্ড, এমআইটিতে কিভাবে যাবো???

হার্ভার্ড, এমআইটিতে কিভাবে যাবো? উচ্চশিক্ষায় কিভাবে বিদেশে যাবো? আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে IELTS দিলেই স্কলারশিপ পাওয়া যায়? ভাইয়া আপনি পাবলিকে চান্স পাননি কিন্তু রাইস ইউনিভার্সিটিতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন তাহলে আমরাও কি বাংলাদেশে কোথাও চান্স না পেলে বাইরে অ্যাপ্লাই করবো?
প্রথমত আমার জানা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে IELTS দিবেন। ৬.৫+ স্কোর পাবেন, SSC ও HSC তে ৫.০০ বা ভালো জিপিএ পাবেন এবং আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া তে প্রতিবছর ২৫ লক্ষ (১০+/-) টাকার মতো খরচ হবে এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবেন। যদিও আমার মতো বেশিরভাগের পরিবারের পক্ষে এই অর্থ দেয়ার সামর্থ্য থাকে না কিন্তু যাদের আছে তারা চাইলেই বাইরে পড়তে যেতে পারেন। আর আপনি যদি আমেরিকাতে যেতে চান তাহলে SAT Exam এ একটু ভালো স্কোর আসলে (1300+ out of 1600) আরও বেশি স্কলারশিপ পাবেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন SAT আপনার একাডেমীক যোগ্যতার একটি হলেও IELTS শুধুমাত্র আপনার ইংরেজিতে দক্ষতা আছে এবং সেই বিশ্ববিদ্যালগুলোর পড়াশুনা আপনি ভাষাগতভাবে বুঝার যোগ্যতা রাখেন সেটির সার্টিফিকেট বলতে পারেন। একটি ইংলিশ স্পিকিং দেশে একটা বাচ্চাও যেখানে ইংরেজিতে কথা বলে সেখানে আপনার ইংরেজির যোগ্যতা দেখে ইমপ্রেসড হয়ে আপনাকে স্কলারশিপ দিবে তা কখনো ভাববেন না। আর হ্যাঁ! যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় দেয় তাদের থেকে আপনি প্রথমত খুব বেশি স্কলারশিপ পাবেন না আর তাদের গুনগত মান নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্টও হতে পারবেন না। SAT ১৪৬০+ স্কোর করলে সেটি আপনাকে অবশ্যই আমেরিকাতে ভালো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Texas at Arlington, Florida International University, University of South Florida etc.) ৮০% থেকে ১০০% টিউশন স্কলারশিপও দিবে যদি আপনার SSC ও HSC তে ৫.০ পেয়ে থাকেন আর আপনি আপনার স্কুলের টপ ৫% স্টুডেন্টদের একজন হন।
SAT Exam আপনি চাইলে আমেরিকার ভর্তি পরীক্ষা বলতে পারেন যেখানে আপনাকে ইংলিশের রিডিং ও রাইটিং সেকশনে ৮০০ মার্ক এবং ম্যাথের উইথ ক্যালকুলেটর ও উইথআউট ক্যালকুলেটর সেকশনে ৮০০ মার্কের উপর মোট ১৬০০ মার্কের ৩ ঘণ্টার একটি পরীক্ষা দিতে হবে। আপনি SAT তে কেমন করবেন, প্রশ্ন কেমন হয় এবং কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন তা জানতে হার্ভার্ডের ছাত্র সিয়াম ভাইয়ার ভিডিওটি দেখতে পারেনঃ https://www.youtube.com/watch?v=N1qFK0Q6B68 এবং প্রস্তুতি নিতে পারেন Khan Academy SAT এই ওয়েবসাইটেঃ https://www.khanacademy.org/mission/sat । এখানে বিনামূল্যে সবাই SAT এর প্রস্তুতি নিতে পারে আর প্রস্তুতির বইগুলো পাবেন এই লিংকেঃ https://mega.nz/folder/LmhHxaxY#bLT8SQ3MdqKh39TStjcukA ।SAT তে ম্যাথ সেকশনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সহজে ভালো নম্বর পেলেও ইংলিশ সেকশনে নম্বর তোলা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। ভালো করতে সিয়াম ভাইয়ার ভিডিও দেখতে পারেন, লিংকে দেয়া বইগুলো শেষ করতে পারেন এবং খান অ্যাকাডেমিতে বেশি বেশি প্রাকটিস করতে পারেন!
কেন অনার্সে স্কলারশিপ পাওয়া এতো কঠিন আর আর্থিক সামর্থ্য কম থাকলে কেন আমেরিকাতে অনার্সের স্বপ্ন দেখা অনেকাংশে উচিত না?
যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতে অর্থ প্রয়োজন। এই অর্থ তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে আয় করতে হয় এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকার থেকে অনুদান পায় (আমেরিকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের দেশের জনগণের ট্যাক্সের এর টাকায় চলে বলে সেই অর্থে অনেক বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিয়ে পড়ানো কিছুটা নীতিবিরুদ্ধও!)। আমার জানা মতে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে “অনার্স” সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ উপার্জনের একটি বিশাল মাধ্যম এবং সেটি মূলত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের থেকেই। আর মাস্টার্স পিএইচডি তে তারা মূলত সেই অর্থ ইনভেস্ট করে গবেষণার ফান্ড, স্কলারশিপ এবং অন্যান্য মাধ্যমে। এতে তাদের সুবিধা অনেকভাবেই। প্রথমত সেই শিক্ষার্থীদের তারা টিচার অ্যাসিস্ট্যান্ট, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দিবে। এতে তাদের কম ফ্যাকাল্টি নিয়োগ করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্যে এবং অনেক অর্থ সঞ্চয় হয়। যা অনার্সের ক্ষেত্রে একদম প্রযোজ্য না কারন এই সময় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের দিয়ে সেগুলো করানো সম্ভব না। আর টপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেস্ট বেস্ট শিক্ষার্থীদের ফুল স্কলারশিপ দিয়ে নেয় কারন বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার আগেই তারা যেই কাজ, গবেষণা ও মেধা দিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি যেই যোগ্যতা অর্জন করেছে তা সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনেক কিছু দিবে। এর থেকে আমাদের দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনি দেশে থেকেই অনার্স শেষ করে মাস্টার্সের জন্যে খুব সহজে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাইরে যেতে পারেন স্কলারশিপ সহ। আর প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী এভাবে মাস্টার্সে দেশের বাইরে পড়াশুনা করতে যাচ্ছে।
তাহলে প্রতিবছর শত শত শিক্ষার্থী কিভাবে আমেরিকাতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাচ্ছে? বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আমেরিকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে পড়াশুনা করছে ফিনান্সিয়াল এইড নিয়ে। ফিনান্সিয়াল এইড হচ্ছে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়াকালীন প্রতিবছর যত টাকা দিতে পারবেন আপনার একবছরের টিউশন, ইনসিওরেন্স ফি, থাকা খাওয়া, ভ্রমণ সকল খরচসহ তার বাইরে যত খরচ থাকবে সব সেই বিশ্ববিদ্যালয় ফিনান্সিয়াল এইড আকারে আপনাকে স্কলারশিপ দিবে। যদি আপনার প্রতি বছর ফ্যামিলি থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য থাকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার এক বছরে পড়তে সকল খরচ হয় ৫০ লক্ষ টাকা তাহলে আপনি ফিনান্সিয়াল এইড পাবেন প্রতিবছর ৪৫ লক্ষ টাকা। যদি আপনার প্রতি বছর ফ্যামিলি থেকে কোনো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে তাহলে সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলে তারা আপনার প্লেনের টিকেটও পাঠিয়ে দিবে। কিন্তু সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার নিড যত বেশি সুযোগ পাওয়া ততো কঠিন। একটি ছেলে যার পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর ৪০ লক্ষ টাকা দিবে তার জন্যে সুযোগ পাওয়া তুলনামূলকভাবে অনেকটা সহজ অন্য একজনের থেকে যার পরিবার দিতে পারবে ৪ লক্ষ টাকা।
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফুল স্কলারশিপ পেতে হলে শুধু SAT তে ভালো করলে, IELTS এ ৭+ পেলে অথবা SSC, HSC তে ৫.০ পেলে কিছুই হবে না। কারন প্রতিবছর প্রচুর শিক্ষার্থী সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অ্যাপ্লাই করে SAT 1500+ এবং IELTS 8+ স্কোর নিয়ে আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব কম আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনেক ফিনান্সিয়াল এইড দিয়ে নির্বাচন করে।
তাহলে আপনি কি আর করতে পারেন সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতে?
কেউ তাদের নিজস্ব দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স কম্পিটিশন করে পুরষ্কার অর্জন করে। অনেকে অনেক সুন্দর আর্ট পারে এবং সেই আর্ট দিয়ে সমাজকে স্থিরচিত্রে তুলে ধরতে পারে ভিন্নভাবে। কেউবা আবার তার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হাজারো পথশিশুর পড়াশুনার ব্যবস্থা করছে। কেউ হয়তো ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করে। সবাই সবার মতো নিজেদের ভালোলাগার কাজগুলো দিয়ে সমাজে পরিবর্তন আনছে অথবা তার বিশেষ বিষয়ের দক্ষতা পরবর্তীতে যুগান্তকারী কিছু করার পতিস্রুতি দিচ্ছে। এসব কিছুই Extra Curricular Activity (ECA)। তাদের SAT বা IELTS এ ভালো মার্কস তো থাকেই এবং তাদের ECA, Common App Essay তে থাকে অনন্য ব্যক্তিত্বের ছাপ। আপনি তাহলে কি করবেন? যা আপনার করতে ভালো লাগে! তত্ত্বীয় বিষয়ে ভালো হলে অথবা কোন বিশেষ বিষয়ে ভালো হলে সেই বিষয়ের অলিম্পিয়াডে যোগদান করতে পারেন অথবা খুব ভালো আঁকতে জানলে আপনার আর্ট দিয়ে তুলে ধরতে পারেন সমাজের চরম বৈষম্য। তারা আপনার ফলাফলের বাইরের আপনি মানুষতাকে দেখবে আপনার কাজ, অর্জন এবং আপনার Essay দিয়ে। আর অ্যাপ্লাই করবেন কিভাবে? আমেরিকার প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাই করতে হয় Common Application (https://www.commonapp.org/) এর মাধ্যমে। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত তথ্যের পাশাপাশি আপনার কলেজের ২ জন শিক্ষকের Recommendation Letter লাগবে তাদের অফিসিয়াল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এবং তারাই আপনার সকল শিক্ষা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠাবে। আর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাই করতে কোনো টাকা লাগেনা! অ্যাপ্লাই কিভাবে করতে হয় বিস্তারিত জানতে আনিকা আপুর এই ভিডিওটি দেখতে পারেনঃ https://www.youtube.com/watch?v=Pl3B_r6ngZY
কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় ফিনান্সিয়াল এইড দেয়?
Amherst College [Fullride]
Harvard University [Fullride]
Massachusetts Institute of Technology [Fullride]
Princeton University [Fullride]
Yale University [Fullride]
New York University Abu Dhabi [Fullride]
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলে Need-Blind. অর্থাৎ এরা আপনার আর্থিক অবস্থা দেখবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আপনার জন্যে আর যার ফামিলি ফুল পে করবে তার জন্যে সুযোগ পাওয়া সমান কঠিন। কিন্তু এইখানে সুযোগ পেতে অনেক অনেক ভালো প্রোফাইল থাকা খুব জরুরি। সিয়াম ভাইয়ার থেকে শুনতে পারেন হার্ভার্ড কিভাবে মূল্যায়ন করেঃ https://youtu.be/6hYnZ0hd4sM?t=1388 । আপনি স্বপ্ন দেখতেই পারেন হার্ভার্ড, এমআইটিতে পড়ার কিন্তু আপনি স্বপ্নবিলাসী হওয়ার পাশাপাশি আপনাকেও মূল্যায়ন করবেন কারন যারা সুযোগ পেয়েছে তারা হয়তো সমাজে অনেক বড় কোনো অবদান রেখেছে অথবা তাদের গবেষণা যুগান্তকারী কোনো আবিষ্কার করেছে।
আর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে টপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে অন্যান্য কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুযোগ পেতে আপনাকে রকেট সায়েন্স জানতে হয়তো হবে না কিন্তু অনন্য কেউ হতে হবে আপনার কাজ বা সফলতা দিয়ে। নাহয় কোনো প্রতিষ্ঠান কেন আপনার পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে চাইবে যেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে পড়তে চাওয়া শিক্ষার্থীর কোনো অভাব নেই তাদের। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশে [Fullride] লেখার অর্থ তারা আপনার সব নিড ফিল আপ করবে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৮০% থেকে ১০০% শতাংশ নিড ফিল আপ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লিস্টঃ
Barnard College (All Women’s College)
Bates College
Bennington College [Fullride]
Berea College [Fullride]
Bowdoin College
Brown University [Fullride]
Bryn Mawr College (All Women’s College)
Carleton College [Fullride]
Colby College
Colgate University
Colorado College [Fullride]
Columbia University [Fullride]
Connecticut College
Cornell University [Fullride]
Dartmouth College [Fullride]
Davidson College [Fullride]
Dickinson College
Duke University [Fullride]
Franklin & Marshall College
Gettysburg College
Hamilton College
Harvey Mudd College
Haverford College [Fullride]
Johns Hopkins University
Kenyon College [Fullride]
Lafayette College
Lehigh University [Fullride]
Minerva Schools at KGI
Macalester College
Middlebury University [Fullride]
Oberlin College
Pomona College
Reed College [Fullride]
Rice University [Fullride]
Skidmore College
Smith College (All Women’s College) [Fullride]
Swarthmore College [Fullride]
Stanford University [Fullride]
Trinity College
Tufts University [Fullride]
University of Chicago
University of Miami
University of Pennsylvania
University of Richmond
Vanderbilt University [Fullride]
Vassar College
Washington University in St. Louis
Washington & Lee University
Wellesley College (All Women’s College)
Williams College [Fullride]
এতদূর পড়ে বুঝতে পারছেন হয়তো আমেরিকাতে পড়তে যেতে শুধু IELTS লাগে না লাগে অনেক কিছু। এরপরও অনেকে সুযোগ পায় না অনেক কিছু করার পরও। যেমন গতবছর আমার প্রোফাইল কিছুটা ভালো ছিল। আমার MIT SOLVE Tiger Challenge বিজয়, NASA Space Apps Challenge এ ফাইনালিস্ট, International Children’s Peace Prize এ এশিয়া থেকে মনোনয়ন আর বাংলাদেশের প্রায় সব সায়েন্স কম্পিটিশনে আমার অর্জন, জাতীয় আইসিটি পুরষ্কার, Apicta Awards ও আমাকে কোনো কলেজে সুযোগ দিতে পারেনি। কারণ পৃথিবীর সব দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী আমেরিকাতে অ্যাপ্লাই করে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এজন্যে সুযোগ পাওয়ার স্ট্যান্ডার্ডও অনেক অনেক হাই!! সবাইকে শুভকামনা!
——-
Iftekhar Ahmed | Rice University, Class of 2027

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *