Study in Italy from Bangladesh
1
https://m.facebook.com/groups/340324898239300/permalink/396517789286677/?mibextid=Nif5oz
আমি কি স্কলারশিপ পাবো বা এই প্রোফাইলে কি স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব?
সবচেয়ে বেশি এই বিষয় নিয়ে কোশ্চেন থাকে বেশিরভাগ স্টুডেন্টদের।
যারা ইতালিতে পড়তে আসবেন তাদের সবার আগে অফার লেটার নিয়ে মনোযোগী হওয়া উচিত। একবার ইউনিভার্সিটি এবং ডিপার্টমেন্ট ফিক্সড হয়ে গেলে স্কলারশিপ নিয়ে ভাববেন। কারণ স্কলারশিপের সার্কুলার না হওয়া পর্যন্ত কে কোন স্কলারশিপ উইনার হতে পারবে এটা বলা সম্ভব না।
ইতালিতে আপনি আপনার রেজাল্ট দিয়ে স্কলারশিপ পাবেন ব্যাপার টা শুধু এমন না। এদেশে আপনি আপনার আর্থিক অবস্থা, আপনার মেরিট, আপনার ট্যালেন্ট, আপনার জি আর ই স্কোর এরকম বিভিন্ন মানদণ্ডে ভিন্ন ভিন্ন স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ পাবেন। একজন শিক্ষার্থী যে কোনো একটি স্কলারশিপ পেতে পারে।
ইতালি বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ হিসেবে কাউন্ট করে। আর তাই আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা সহজেই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হয়।
স্কলারশিপ পাবেন কি না এটা পুরোটাই নির্ভর করে সঠিক ডকুমেন্টস রেডি করতে পেরেছেন কি না তার উপরে। আপনার আইএলটিএস আছে কিনা নাই এই বিষয় টা ইতালিতে গুরুত্বপূর্ণ না।
তাই স্কলারশিপ নিয়ে চিন্তিত না হয়ে ভালো ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ভালো সাবজেক্টে যাওয়ার চেষ্টা করুন। গ্রাজুয়েট প্লেসমেন্ট পারসেন্টেজ চেক করুন। ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং অথবা ডিপার্টমেন্টের র্যাংকিং চেক করুন। যাতে পাশ করার পরে ভালো জব পান। এগুলোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই মুহূর্তে।
Q: Spouse?
A: ইতালিতে স্পাউস এলাউ না।
পিআর পাওয়ার সুযোগ আছে।
Q: pr Pete koto year Lage and pr er por passport Pete kemon Time Lage?
A:
2
https://m.facebook.com/groups/340324898239300/permalink/385229347082188/?mibextid=Nif5oz
ইতালিতে পড়তে যেতে আগ্রহী কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।
প্রথমেই আপনার প্রোফাইল গুছাবেন। এপ্লিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস রেডি করুন।
পাসপোর্ট না থাকলে সেটা করে ফেলুন।
এরপর একাডেমিক সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট গুলি গুছিয়ে রাখুন।
সাপোর্টিং ডকুমেন্টস রেডি করার পালা এরপর। এলও আর, সিভি, ল্যাংগুয়েজ সার্টিফিকেট, মোটিভেশন লেটার, এসওপি সহ যা যা লাগে সব রেডি করে ফেলুন।
এরপর আপনার কাজ হচ্ছে ইউনিভার্সিটির সাথে প্রোফাইল ম্যাচ করা। ইতালিতে একেক ইউনিভার্সিটির একেক ডিপার্টমেন্টের একেক রকম ক্রাইটেরিয়া থাকে। তাই এটা অন্যতম ধৈর্যের কাজ। ক্রাইটেরিয়া না বুঝে এপ্লাই করে অনেকেই এপ্লিকেশন ফি নষ্ট করে কারণ ক্রাইটেরিয়া না মিললে অফার লেটার আসবে না। পুরো টাকাটাই শেষ।
আমাদের দেশে সাধারণত যে কোনো সাবজেক্ট থেকে এমবিএ করা যায়। তাই অনেকের ধারণা ইতালিতেও এটা সম্ভব। তারা এমবিএ করতে যেতে চায় কিন্তু তাদের অনার্স অন্য সাবজেক্টে। সেক্ষেত্রেও রিজেক্ট হওয়ার চান্স বেশি।
ভিসা পেতে হলেও ব্যাকগ্রাউন্ড সাবজেক্টের সাথে মিল রেখে সাবজেক্ট চুজ করা উচিত।
যেমন ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ থেকে আপনি বড়জোর ইংলিশ লিটারেচার পড়তে পারেন তাই বলে টুরিজম পড়তে চাইলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু কমে যাবে।
ইউনিভার্সিটির সাথে প্রোফাইল মিলে গেলে ডিপার্টমেন্টের জন্য যে পোর্টাল আছে। সেখানে গিয়ে আপনার প্রোফাইল ক্রিয়েট করবেন। এরপর এপ্লাই করে পেমেন্ট করে দিবেন।
এরপর কাজ হচ্ছে অপেক্ষা করা। যদি সিলেক্টেড হন তাহলে অফার দিবে নাহলে রিজেক্ট করে দিবে।
নোটঃ কখনোই একটি মোটিভেশান লেটার দিয়ে একাধিক আবেদন করবেন না। প্রতিটি আবেদনে আলাদা মোটিভেশান লেটার তৈরি করবেন এবং অন্য কারো মতো করে এই পেপার রেডি করবেন না। এতে দুজন ই রিজেক্ট হতে পারেন যদি একাডেমিক কমিটি বিষয়টি খেয়াল করে।
ইউরোপ পাড়ি দেয়া অনেক টা বাজিধরার মতো। এবারের বাজি ধরতে হবে আপনার ভাগ্যের সাথে। যদি স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে পারেন বাজিতে অবশ্যই জিতবেন ইনশাআল্লাহ।
#
https://m.facebook.com/groups/340324898239300/permalink/401384018800054/?mibextid=Nif5oz
একজন স্টুডেন্ট ইতালিতে আসার পর প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, Ospita/Ospiti এর জন্য ডকুমেন্টস পোস্ট অফিসে সাবমিট করা। এরপর ৭-১৪ দিনের ভেতর আপনার প্রদত্ত ঠিকানায় Ospita/Ospiti চলে আসে। আপনি চাইলে এই স্টেপ টি স্কিপ করতে পারেন যদি আপনার Airbnb/hotel বুক করা থাকে লং টাইমের জন্যে।
এবার আপনার কাজ হচ্ছে পোস্ট অফিসে yellow kit সাবমিট করা। বেসিক্যালি এটা সাবমিট করার মানে হলো আপনিই Stay Permit এর জন্য এপ্লাই করছেন আর তখনই আপনাকে একটা ডেট দেয়া হবে বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্ট এর জন্য। Yellow kit যে কোন পোস্ট অফিসে গিয়ে চাইলেই হবে। এটার জন্য কোন পে করতে হবে না। তবে সকল পোষ্ট অফিসে yellow kit সাবমিট করা যায় না। তাই এটা সিউর হয়ে নিবেন। সাজেশন থাকবে বাসার কাছে যেই পোস্ট অফিস আছে সেখানে সাবমিট করুন এবং প্রাপ্ত ডেট এবং টাইমে কোস্তরা অফিসে উপস্থিত থেকে সকল অরিজিনাল ডকুমেন্টস দিয়ে RP কার্ড বানানোর প্রসেস কমপ্লিট করুন।
নোট: পোষ্ট অফিসে হলুদ কিট ছাড়ার পর ১/২/৩/৪ মাস লাগতে পারে শুধু বায়োমেট্রিক এর ডেট পেতে।
এবার আপনার কাজ হচ্ছে মেডিকেল কার্ড বানানো। এই ব্যাপারে রিজিওন অনুসারে প্রসেস ভিন্ন ভিন্ন। তাই আমি কিছু লিখিনি।
Ospiti, Yellow কিট এর কাজ শেষ এবার আপনি একটু রিল্যাক্স করুন বা এর মাঝে আপনি আপনার ভার্সিটিতে এনোরোলমেন্ট কমপ্লিট করে স্টুডেন্ট ফ্ল্যাশ কার্ড / আইডি কার্ড নিয়ে নিতে পারেন এবং এই সময়ে আপনি আপনার ভার্সিটির লিংক করা ব্যাংক এ একটা একাউন্ট করে ফ্ল্যাশ কার্ডের সাথে এড করে নিতে পারেন।
এখন আপনার কাজ হলো Codice fiscale কার্ড বানানো। আমার জানামতে ইউনিভার্সিটি আপনি ইতালি আসার পূর্বেই আপনাকে এই কোড বানিয়ে সেন্ড করে দিয়েছে এবং সেটা অলরেডি একটিভ করা। তারপরও যদি না থাকে তবে agenzia del entrate তে গিয়ে বানাতে হবে আর পূর্ব থেকে যদি পেয়ে থাকেন তবে আপনার ডকুমেন্টস সহ গিয়ে কার্ডের জন্য এপ্লাই করতে হবে। অনেক রিজিওন এর অফিসে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে তাই আগে থেকেই ওয়েবসাইট চেক করে যাবেন।
কিছুদিন পর কার্ড আপনার ঠিকানায় চলে আসবে। যখন আপনার কাছে RP কার্ড এবং Codice Fiscale কার্ড থাকবে তখন আপনি ইতালিতে পরিপূর্ন।
উপরোক্ত সব গুলো কাজ আমার নিজ অভিজ্ঞতা থেকে লিখা। কোথাও ভুল হলে অবশ্যই জানাবেন আমি নিজে শুধরে নেবো + অন্য রাও ফিক্স করে নিতে পারবে ।
Università degli Studi di Padova
ক্রেডিটঃ সানি ভাই।