রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব pdf 2023 (All Books Collection)
রোজার গুরুত্ব নির্ভর করে রোজার প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্যের ওপর, একজন মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই মূলত রোজা রেখে থাকে। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও সুস্থতার সুবিধার জন্য বিভিন্ন কারণে বহু শতাব্দী ধরে উপবাস পালন করা হয়েছে। এখানে রোজা রাখার কিছু সম্ভাব্য সুবিধা রয়েছে:
- রোজা ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং প্রদাহ কমাতে দেখানো হয়েছে, যা বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
- রোজা রাখলে ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে এবং চর্বি বার্ন করে ওজন কমতে পারে।
- রোজা/উপবাস অটোফ্যাজি নামক একটি সেলুলার প্রক্রিয়াকে ট্রিগার করে, যা কোষগুলিকে ভেঙে ফেলা এবং পুরানো এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রোটিনগুলিকে পুনর্ব্যবহার করতে দেয়, যার ফলে সেলুলার মেরামত এবং পুনর্জন্ম হয়।
- রোজা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে এবং নিউরোপ্লাস্টিসিটি প্রচার করতে পারে, যা মস্তিষ্কের নিজেকে পুনর্গঠিত করার এবং নতুন নিউরাল সংযোগ তৈরি করার ক্ষমতা।
- রোজা/উপবাস জীবনকাল বৃদ্ধি এবং বয়স-সম্পর্কিত রোগ অতি আমাদের রক্ষা করে।
রোজার বই pdf. রোজা সম্পর্কিত বই. সিয়াম বই pdf. রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব pdf
আমার সিয়াম কবুল হবে কি – মাসুদা সুলতানা রুমি
একই দিনে সকল মুসলিমকে অবশ্যই স্বওম ও ঈদ পালন করতে হবে – মুহাম্মদ ইকবাল বিন ফাখরুল

কিতাবুস সাওম – জসীম উদ্দীন রহমানী
চাঁদ দেখে রোজা-ঈদ – আব্দুল হামিদ ফাইযী
চিকিৎসা বিজ্ঞানীর দৃষ্টিতে রোযা – ডাঃ দেওয়ান একেএম আবদুর রহীম
নিজ দেশের লোকদের সাথে রোযা রাখবে, না চাঁদ দেখা যে কোনো দেশের সাথে – আব্দুল আযীয
প্রশ্নোত্তরে সিয়াম – অধ্যাপক মোঃ নুরুল ইসলাম
বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে সাওম – আব্দুল্লাহ আল মামুন আল আযহারী
বিশ্ববাসি একই দিনে সিয়াম ও ঈদ পালনের ভ্রান্ত অভিলাষ – কামারুজ্জামান বিন আব্দুল বারী
যাকাত ও সাওম বিষয়ক দুটি পুস্তিকা – আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায
যাকাত সাওম ইতেকাফ – আবদুস শহীদ নাসিম
রমযান ও রোযা – অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
রমযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী
রোযার ৭০টি মাসয়ালা মাসায়েল – মুহাম্মদ সলেহ আল মুনাজ্জেদ
রোযার ফযিলত ও শিক্ষাঃ আমাদের করণীয় – ড. মোঃ আব্দুল কাদের
রোজার মাসায়েল – মুহাম্মদ ইকবাল কিলানী
রোজার মৌলিক শিক্ষা – খন্দকার আবুল খায়ের
সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ – আব্দুল্লাহ আল মামুন আল আযহারী
সাওম বিষয়ক আধুনিক কিছু মাসাআলা – ফিকহী গবেষণা সেন্টার আল ইমাম ইউনিভারসিটি
সাওম যাকাত ঈদুল আযহা – এ কে এম নজির আহমেদ
সারাবিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ – আলী হাসান ওসামা
সিয়াম ও কিয়াম – প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
সিয়াম ও রমজানঃ শিক্ষা তাৎপর্য ও মাসায়েল – আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
সিয়াম ও রমযান – মুহিউদ্দীন শামী
সিয়াম ও রামাযান – মুযাফফর বিন মুহসিন
সিয়াম গুরুত্ব ও তাৎপর্য – সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী
সিয়াম তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায় – মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন
সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া – ইসলাম কিউ. এ
সিয়াম সাধনা – শামসুল আলম
সিয়ামঃ সিয়ামের প্রস্তুতি ও মাসায়েল – আবদুস শহীদ নাসিম
Collected from(porageducation): রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব pdf
FAQ about fasting
মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখার তাৎপর্য কী?
রমজান মাসে রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি সমস্ত সুস্থ, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক কাজ। এটি আধ্যাত্মিক প্রতিফলন, আত্ম-শৃঙ্খলা এবং আল্লাহর প্রতি ভক্তি বৃদ্ধির একটি সময়। এটি ইসলামিক চন্দ্র ক্যালেন্ডারের উপর নির্ভর করে 29 বা 30 দিনের জন্য ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় এবং অন্যান্য শারীরিক চাহিদা থেকে বিরত থাকা জড়িত।
রমজানের রোজা মুসলমানদের দৈনন্দিন রুটিনে কীভাবে প্রভাব ফেলে?
রমজান মাসে, মুসলমানরা রোজা রাখার জন্য তাদের দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করে। তারা ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে সুহুর নামক একটি প্রাক-ভোর খাবার খেতে এবং সূর্যাস্তের সময় ইফতারের খাবারের সাথে তাদের উপবাস ভঙ্গ করে। উপবাসের সময়টি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, বিশেষ করে গ্রীষ্মের মাসগুলিতে যখন দিনগুলি দীর্ঘ হয়, তবে এটি স্ব-শৃঙ্খলা এবং আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির সুযোগ হিসাবে দেখা হয়।
মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখার কোন ব্যতিক্রম আছে কি?
কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী আছে যারা রমজান মাসে উপবাস থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত, যার মধ্যে শিশু, গর্ভবতী বা স্তন্যপান করানো মহিলা, ভ্রমণকারী, বৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থা যাদের রোজা রাখাকে কঠিন বা বিপজ্জনক করে তোলে। যাইহোক, রোজা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত অনেক লোক রমজান মাসে অন্যান্য উপাসনায় অংশগ্রহণ করতে পছন্দ করে, যেমন কুরআন পাঠ করা এবং অতিরিক্ত প্রার্থনা করা।
রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
রোজার ফজিলত-মর্যাদা সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। ছবি: পিক্সাবে ডটকমের সৌজন্যেরমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রোজা আল্লাহর অত্যন্ত প্রিয় ইবাদত। এ সম্পর্কিত ৮টি হাদিস তুলে ধরা হলো—
১। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হাদিসে কুদসিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার নিজের জন্য—রোজা ব্যতীত। কারণ, রোজা আমার জন্যই এবং আমি নিজেই তার প্রতিদান দেব।’ (মহানবী সা. আরও বলেন) ‘রোজা ঢাল স্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি একজন রোজাদার। যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ তাঁর শপথ! অবশ্যই রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধের চেয়েও সুগন্ধময়। রোজাদারের জন্য রয়েছে দুটি খুশির মুহূর্ত আছে, যা তাকে আনন্দিত করে। যখন সে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার পালনকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তখন রোজার বিনিময়ে আনন্দিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯০৪)
২। হজরত হুজায়ফা (রা.) বলেন, আমি মহানবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের পরিবার, ধন-সম্পদ ও প্রতিবেশীর ব্যাপারে ঘটিত বিভিন্ন ফেতনা ও গুনাহর কাফফারা হলো নামাজ, রোজা ও সদকা।’ (বুখারি, হাদিস: ১৮৯৫)
৩। হজরত সাহল ইবনে সাআদ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘জান্নাতের এক প্রবেশদ্বার রয়েছে, যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন ওই প্রবেশদ্বার দিয়ে রোজাদারগণ প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউই ও দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। বলা হবে, ‘কোথায় রোজাদারগণ?’ সুতরাং তারা ওই দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে। এর পর যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তখন সেই দরজা বন্ধ করা হবে। ফলে তা দিয়ে আর কেউই প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বুখারি, হাদিস: ১৮৯৬)
৪। হজরত আবু সাইদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে বান্দা আল্লাহর পথে একদিন মাত্র রোজা রাখবে, সেই বান্দাকে আল্লাহ বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে ৭০ বছরের পথ পরিমাণ দূরত্বে রাখবেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২৮৪০)

৫। হজরত উসমান বিন আবুল আস থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘রোজা জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য ঢালস্বরূপ; যেমন যুদ্ধের সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্য তোমাদের ঢাল থাকে।’ (মুসনাদে আহমাদ, সহিহুল জামিউস সাগির, হাদিস: ৩৮৭৯)
৬। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন রোজা ও কোরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি তাকে পানাহার ও যৌনকর্ম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ কোরআন বলবে, ‘আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছিলাম। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’ মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘অতএব উভয়ের সুপারিশ গৃহীত হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, সহিহ তারগিব, হাদিস: ৯৬৯)
৭। হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন কোনো আমলের আজ্ঞা করুন; যার বিনিময়ে আল্লাহ আমাকে লাভবান করবেন।’ (অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘যার মাধ্যমে আমি জান্নাত যেতে পারব’) তিনি বললেন, ‘তুমি রোজা রাখো। কারণ, এর সমতুল্য কিছু নেই।’ পুনরায় আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে কোনো আমলের আদেশ করুন।’ তিনি পুনরায় একই কথা বললেন, ‘তুমি রোজা রাখো। কারণ, এর সমতুল্য কিছু নেই।’ (নাসায়ি, সহিহ্ তারগিব, হাদিস: ৯৭৩)
৮। হজরত হুজায়ফা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) আমার বুকে হেলান দিয়ে ছিলেন। তখন তিনি বললেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একদিন রোজা রাখার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কিছু সদকা করার পর যে ব্যক্তির জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে, সেও জান্নাত প্রবেশ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, সহিহ্ তারগিব, হাদিস: ৯৭২)