Computer Based IELTS পরীক্ষা যারা দেবেন;

IELTS পরীক্ষা যারা দেবেন; পরীক্ষা দুই ভাবে দেওয়া যায়, Paper Based and Computer Based
আপনি যে মাধ্যমে প্র্যাকটিস করছেন অর্থাৎ মক টেস্ট দিচ্ছেন; সে মাধ্যমেই মূল পরীক্ষা দেওয়া উচিত।
যেহেতু বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসেই প্রিপারেশন নিচ্ছেন এবং অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে মক টেস্ট দেন। সেক্ষেত্রে কম্পিউটার বেইজড একটা গুড অপশন হতে পারে। সুবিধা হচ্ছে; মোটামুটি এক সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষার ডেট পেয়ে যাবেন। পরীক্ষা দেওয়ার দুই দিনের মধ্যে রেজাল্ট পাওয়া যায়। আপনি যদি রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ (Enquiry on Results) করেন, সেটার ফলাফলও একদিনের মধ্যে পেয়ে যাবেন অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুতই হয়ে যাবে।
কম্পিউটার ডেলিভারড টেস্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে রিডিং-এ ভালো মার্ক তোলা সম্ভব। বিশেষ করে, যারা ল্যাপটপে পিডিএফ পড়তে অভ্যস্ত তাদের জন্য।
Gap Fill এ Passage থেকে উত্তরগুলো টেনে নিয়ে বসানো যায়। Highlight করার অপশন রয়েছে সুতরাং “লিস্ট অফ হেডিং” যেটা সবচেয়ে কঠিন বলে ধরা হয় সেটাও তুলনামূলক Easy লেগেছে।
অনেকের ধারণা আপনার লেখার স্পিড কম তাই রাইটিং পার্টে সমস্যায় পড়বেন। এটা শতভাগ ভুল ধারণা। আমি নিজেই আজীবন voice typing করি এবং কখনোই আমার কিবোর্ড ব্যবহার করা হয় না। এজন্য আমার টাইপিং স্পিড খুবই খুবই কম। তবুও সময় স্বল্পতা হয় নি কারণ সব মিলিয়ে মাত্র দুই পেজ এর মত লিখতে হয়। এক ঘন্টা সময় এটার জন্য খুবই বেশি।
তবে একটু ঝামেলা মনে হতে পারে লিসেনিং-এর ক্ষেত্রে। Paper Based পরীক্ষা দিলে লিসেনিং শেষে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয় উত্তরগুলো ট্রান্সফার করার জন্য কিন্তু কম্পিউটার মুডে মাত্র ২ মিনিট দেওয়া হয়। তবে এটা সমস্যা না; যেহেতু সাথে সাথে উত্তরগুলো তুলে ফেলা যায়। সমস্যাটা হচ্ছে, লিসেনিং চলাকালীন সময়ে উত্তরগুলো তুলতে গিয়ে বারবার Concentration ছুটে যায়। No more than two/ three words চলে আসলে একটু ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে।
কম্পিউটার মাধ্যমে পরীক্ষা দিলে, ব্রিটিশ কাউন্সিলে যারা দেবেন; আপনাদের স্পিকিং ভিডিও কলে হবে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রিটিশরা স্পিকিং নেবে। কথিত আছে যে, ওনারা কিছুটা হলেও ভালো মার্কিং করেন উপমহাদেশের এক্সামিনারদের তুলনায়।
কম্পিউটার মুডে পরীক্ষা দিলে যদি আপনার পার্টিকুলার কোন একটা স্কিলে পরীক্ষা খারাপ হয়; সেটা ১৪৫০০ হাজার টাকা খরচ করে রিটেক দেওয়া যায়। Australia এবং UK এর অনেক ভার্সিটি রিটেক একসেপ্ট করে কিন্তু USA এর সব ভার্সিটি একসেপ্ট করবে না।
সর্বোপরি, যারা রেগুলার কাজের জন্য টুকটাক কম্পিউটার ইউজ করেন আমি অবশ্যই বলবো কম্পিউটার মোডে পরীক্ষা দিন। এখন এটা আসলে আপনার উপযুক্ত কিনা এটা বোঝার জন্য ieltstestsimulation, ieltsonlinetests এই টাইপের ওয়েবসাইটগুলোতে ফ্রিতে mock দিতে পারবেন।
মনে রাখবেন, এটা শুধুমাত্র একটা ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট পরীক্ষা। আপনি যেখানে আবেদন করবেন তাদের রিকোয়ারমেন্ট ফিলাপ করলেই হবে। সাধারণত এটার সাথে স্কলারশিপ পাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। মোস্ট অব দ্য ইউনিভার্সিটিতে 6.5 দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। ইউরোপের অনেকগুলো দেশে 6.0 দিয়েও আবেদন করা যায়, 7.0 পেলে আরও ভালো। সেক্ষেত্রে অলমোস্ট সব জায়গায় আবেদন করতে পারবেন। জাস্ট ইন্ডিভিজুয়ালি কোনটাতে 6.0 এর নিচে না পেলেই হলো।
আর হ্যাঁ, কোন কারণে পরীক্ষা খারাপ হলে মন খারাপ করবেন না। আপনি যতবার ইচ্ছা ততবার এই পরীক্ষাটি (ফি দিয়ে) দিতে পারবেন।
কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টবক্সে জানাবেন….

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *